করোনায় মৃত্যু শনাক্ত দুটোই বেড়েছে
দেশে করোনাভাইরাসে বুধবার আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৩৩ জন। আগেরদিন মঙ্গলবার মারা গিয়েছিলেন ১৬ জন, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৬৯৯ জন। এক দিনের ব্যবধানে মৃত্যুর সংখ্যা তিন জন বেড়েছে, শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে ৩৪ জন। বুধবার বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু।
এ পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩৫৩ জন। আরও ১৯ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১২৭ জনে। বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭১৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৩১ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৫২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৮টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ আর নারী ৩ জন। তাদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ১২৭ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৭১৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪০৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২০৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি।
এ ছাড়াও ১ হাজার ৬১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৫৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৮ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ২০৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২০৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৮০ জন খুলনা বিভাগের, ২০৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫৬ জন সিলেট বিভাগের, ২৭১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ কোটি ১৫ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১২ লাখ ৭২ হাজারের ঘরে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
এবিসিবি/টিএস