Type to search

জাতীয়

আজ বঙ্গবন্ধুর রেল সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর রেল সেতুর উদ্বোধন করা হবে আজ। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর ভার্চুয়াল মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন।

এসময় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত হতে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: নুরুল ইসলাম সুজন। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৩০০ মিটার উত্তর দিকে নির্মাণ হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল এই সেতু। প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করবে। এতে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পর মেয়াদ ধরা হলেও সংশোধিত মেয়াদ আরো ২ বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর ঝুঁকিও হ্রাস পাবে।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে সমান্তরালভাবে গাড়ি ও রেল চলছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য রেল কোচ খুবই ধীরগতিতে চলে। শুধু তাই নয়, সেতুর ওপর চলাচলের আগে দুই প্রান্তেই বিরতি দিয়ে কোচগুলোর ইঞ্জিন চেক করতে হয়। বর্তমানে ওই সেতুতে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার অনুমোদিত গতিবেগ। ফলে একটি ট্রেনের সেতুর পুব পাশের স্টেশন থেকে পশ্চিম পাশের স্টেশনে যেতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু যমুনা নদীর ওপর পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ হলে আর থাকবে না সে ঝুঁকি। কমে আসবে ভ্রমণকালও। এতে সাশ্রয় হবে যাত্রীদের সময়। রেল বিভাগের জ্বালানি খরচও কমবে। একই সাথে উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হবে, কমবে পণ্য পরিবহন খরচ। যা ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এটা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সরকার মনে করে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, ডুয়েলগেজ ডাবল-ট্র্যাকের এ সেতুটি দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু হবে। এটি রাজধানীর সাথে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগব্যবস্থা আরো সহজ ও উন্নত করবে। এছাড়া ট্রেন শিডিউল বিপর্যয় কমাতেও এ সেতু সহায়তা করবে। এই সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলাজুড়ে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ শহরের আব্দুস সালাম (৭৫) জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই যমুনার উপর রেল সেতু নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে। এই সেতু নির্মাণ হলে সিরাজগঞ্জ শহর আবারও তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। তবে সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানান তিনি।

Translate »