‘অন্তর্বর্তী সরকারকে মোদির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে হবে’
বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজিত ‘বিজয় র্যালি’র পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। র্যালিটি বাংলামোটর থেকে শুরু হয়ে কাঁটাবন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬ ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের বিজয়ের বদলে ভারতের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। এটি একটি হীন এবং অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘মোদিকে জানিয়ে দিতে চাই, এটা গুজরাট নয়, এটি বাংলাদেশ। এখানে সাম্প্রদায়িকতা কিংবা গুজব দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ একটি সম্মানের ও সমতার রাষ্ট্র। আমাদের সার্বভৌমত্বে শোষণের চোখ দিয়ে কেউ তাকালে আমরা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়াড়ী বলেন, ‘দেশ বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন বারবার আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের একটি রাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে দুটি শত্রু—দিল্লির হিন্দুত্ববাদী শক্তি এবং তাদের সহযোগী মুজিববাদী শক্তি। এই দুই শক্তিকে মোকাবিলা করে ঢাকাকে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে গুম-খুন এবং সীমান্ত হত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা তাদের বক্তব্যে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
-ইত্তেফাক