সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় ২য় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক আলী গ্রেপ্তার
জেলা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জনতা এক যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ঝাউডাঙা বাজার থেকে আলী শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ধর্ষক আলীকে ছাড়িয়ে নিতে একটি মহল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেকারণে পুলিশ শুক্রবার ওই আসামীকে আদালতে পাঠায়নি বলে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা ইউনিয়নের এক ইজিবাইক চালকের মেয়ে (৮) ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রীকে গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাদেরই আত্মীয় একই গ্রামের মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাবলু শেখের বাড়িতে খেলতে যায়। বাবলু শেখের ছেলে আলী শেখ (১৭) খাবার দেওয়ার নাম করে ঘরে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধরে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে বাড়িতে আসার সময় তার হাঁটা চলা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসা করতেই সে বাবা ও মায়ের কাছে ঘটনার বলে দেয়।
মেয়েটিকে গত বুধবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটিকে নিয়ে যাতে সদর হাসপাতালে বা থানায় না নিয়ে যাওয়া হয় সেজন্য একই গ্রামের আকবর সরদারের ছেলে মাগফুর ও মহসিন শেখের ছেলে তুহিন তাদের ইজিবাইক অবরোধ করে। টাকা অথবা জমি নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য তারা চাপ সৃষ্টি করে।
ধর্ষিতা ওই মেয়ের বাবার অভিযোগ, ঘটনার রাতেই বাদি হয়ে তিনি আলী শেখের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নেওয়ায় শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আসামী আটক হওয়ায় তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরণের চেষ্টা চালাচ্ছে তুহিন ও মাগফুরসহ একটি মহল।
ঝাউডাঙা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ধর্ষক আলী শেখকে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করে সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা অহিদুজ্জামানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান জানান, আসামী আলী শেখকে যথাসময়ে আদালতে পাঠানো হবে।