মুন্সীগঞ্জে সালিশে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আটক ৫

জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জে সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌর নির্বাচনের পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু(৪০) মৃত্যুবরণ করেছেন।
এর আগে সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে ২ যুবক নিহত ও ১জন গুরুতর আহত হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উত্তর ইসলামপুর এলাকায় বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (২০) ও কাসেম পাঠানের ছেলে ইমন পাঠান (২২)। গুরুতর আহত গত পৌর নির্বাচনের পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৫জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমন পাঠান একই গ্রামের অভিকে থাপ্পড় মারে। পরে ইমন পাঠান পক্ষের বড় ভাই মিন্টু আবারও ডেকে নিয়ে থাপ্পড় মারে অভিকে। এই ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য রাত ১১টার দিকে আওলাদ হোসেন মিন্টুর বাড়ির সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
বিষয়টি বৈঠকে মীমাংসা হয়ে যাচ্ছিল। এ সময় অভি গ্রুপের লোকজন হঠাৎ ৩জনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আশপাশের লোকজন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় তাদের। সেখানে ইমন পাঠানকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। গুরুতর অবস্থায় সাকিব ও আওলাদ হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর সাকিবকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অভি, সৌরভ ও শামীম গ্রুপ এই হামলার সাথে জড়িত। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।