Type to search

অপরাধ জাতীয়

ভারতে বাংলাদেশী নারী নির্যাতনের ঘটনায় আটক ৫

ভারতে ভাইরাল হওয়া নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক বাংলাদেশীসহ ৫ জনকে আটক করেছে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ। এদের মধ্যে থাকা বাংলাদেশীদের হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন।

গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০/২২ বছরের ওই তরুণীকে ৩/৪ জন যুবক নির্যাতন করেন। তাদের সাথে একজন তরুণীও রয়েছেন।

বেঙ্গালুরু পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ভিডিও ক্লিপ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে এসেছিলেন ভারতে। এখন বাংলাদেশে আছেন তিনি। তিনি এলে তার বিবৃতি রেকর্ড করা হবে।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার এক তরুণীকে ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশেরই রিফাতুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবক জড়িত বলে পুলিশ সত্যতা পেয়েছে। অভিযুক্ত যুবক রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েকদিন ধরে ভারতে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আমাদের নজরে আসে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ২০-২২ বছরের একজন তরুণীকে বিবস্ত্র করে তিন/চার জন যুবক শারীরিক ও বিকৃতভাবে যৌন নির্যাতন করছে। ভিডিওটির একজনের সাথে বাংলাদেশি একটি ছেলের ছবি মিলে যায়। আমরা এরপরই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করি।

তদন্তের একপর্যায়ে জানা গেছে, নির্যাতনকারী ওই যুবকের নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয়। সে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ের পরিচয় তার মা ও মামার কাছ থেকে শনাক্ত করা হয়। সে এলাকায় টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত।

উপ-কমিশনার জানান, এ বিষয়ে হৃদয়ের মা ও মামাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা বলেন, উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে চার মাস আগে হৃদয়কে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাসার কারো সাথে তার যোগাযোগ নেই। তদন্তের একপর্যায়ে হৃদয়ের মামার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তার ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। হৃদয় জানায়, গত ৩ মাস আগে ভারতে গেছে সে। যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেই ঘটনা ঘটে ১৫ থেকে ১৬ দিন আগে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ আরও জানান, হৃদয়ের দেওয়া তথ্যমতে তরুণীর পরিবারের সন্ধান পেয়েছি। তরুণীর পরিবার নিশ্চিত করেছে মেয়েটি তাদের। পরিবারের সঙ্গে মেয়েটির গত ২ বছর ধরে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

এদিকে হৃদয়ের বাসা তল্লাশি করে তার জাতীয় পরিচয় পত্র, জেএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও রমনা থানায় তার নামে দায়ের করা একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার এজাহার ও এফআইআর কপি জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হৃদয় জানায় সে বর্তমানে ভারতের পুনেতে অবস্থান করছে। তার প্রকৃত অবস্থান শনাক্তের পাশাপাশি সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। হৃদয়ের সাথে সহযোগী হিসেবে যারা যৌন নির্যাতনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের পরিচয় শনাক্তকরণের পাশাপাশি তারা বাংলাদেশি নাকি ভারতীয় নাগরিক তা যাচাই-বাছাই চলছে।

Translate »