বহুল আলোচিত পাপিয়া ও তার স্বামীর অস্ত্র মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড
বহল আলোচিত নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে অস্ত্র আইনের মামলায় আদালত ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯-এর ‘এ’ ধারায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে ২ জনকে ২০ বছর করে এবং ১৯-এর ‘এফ’ ধারায় অবৈধভাবে গুলি রাখার দায়ে দু’জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একসাথে কার্যকর হবে বলে পাপিয়া ও তার স্বামীকে মোট ২০ বছরের সাজা খাটতে হবে।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ও অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদুল হক শিহাব।
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়াকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২ সহযোগী, তার স্ব্বামী মফিজুর রহমান সুমনসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও ২টি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।
পরে নুর পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, বিশটি গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করেন র্যাব। পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে কোটির টাকার ওপরে বিল দিতেন হোটেলে।
আটকের পর পাপিয়া ও তার স্ব্বামীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।