নোয়াখালীতে ট্রাফিক পুলিশ মেসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৪

জেলা প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীতে বাস ভাড়ার টাকা দেওয়ার কথা বলে ট্রাফিক পুলিশের মেসে নিয়ে এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানাধীন সদর ট্রাফিক পুলিশ মেসের বাবুর্চি কালামের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত তরুণীর মা বাদী হয়ে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ গত বৃস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৪ আসামিকে আটক করেছে।
আসামিরা হচ্ছেন- নোয়াখালী সদর ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে মকবুল হোসেন (৩২), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর এলাকার মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক কামরুল (২৫), নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মোফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৩৯) এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন প্রকাশ কালু। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মকবুল হোসেন ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, আটক ৪ আসামিকে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ১নং আমলী আদালতের বিচারাক নূরজাহান বেগমের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানী শেষে আদালাত ৪ আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার ৪ আসামিকেই আটক করে আদালতের মাধ্য কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিসিবি/এমআই