Type to search

Lead Story অপরাধ জাতীয় বাংলাদেশ শিক্ষা

নওফেলের ঘনিষ্ঠ লোকের জালিয়াতি ধরিয়ে বিপাকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর নওফেলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ফলাফল জালিয়াতির বিষয় সামনে নিয়ে আসায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম। গতকাল  চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে হলরুমে নিজের শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন দাবি করেন। তার দাবি, জালিয়াতির মাধ্যমে ছেলেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর থেকে নানারকম ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন তিনি।

অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ২০২৩ সালে সচিব থাকাকালে নারায়ণের ছেলে নক্ষত্র এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এরমধ্যে অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ৯ই জুলাই নারায়ণ চন্দ্রকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, আমি ৮ মাসে সাহসের সঙ্গে ওই জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি সম্প্রতি পাঁচলাইশ থানায়ও মামলা করেছি। আর জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার পর থেকে নারায়ণ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। আর তাকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নওফেল।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শুধু নারায়ণের ফল জালিয়াতি নয়, আরও অন্তত ১৭ জনের ফল জালিয়াতির বিষয়ে আমরা তদন্ত করেছি। এগুলোার বিচারও করেছি। এসব নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নানা চাপ সহ্য করতে হয়েছে। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর তাই ওই অংশটি আমাকে শেখ হাসিনার দোসর বলে শিক্ষা বোর্ড থেকে নামাতে চেয়েছিল। এখনো তারা সেটি অব্যাহত রেখেছে।
রেজাউল করিম বলেন, সর্বশেষ সোমবার একটি অনলাইন পত্রিকার নারী সাংবাদিক  আমার অফিস কক্ষে ঢুকেন। তিনি কিছু বিষয়ে আমার বক্তব্য জানতে চান। আমি ব্যস্ত থাকায় বলেছি, আপনি কিছুক্ষণ পরে আসুন। তিনি তখনই বক্তব্য দিতে বলেন। বক্তব্য না নিয়ে যাবেন না বলে জানান। একপর্যায়ে তিনি চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। পরে আমাদের স্টাফরা তাকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। আর এখন এই নারী প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, আমরা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি। এখানে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। অফিস সহকারীরা আছে। আপনারা বিষয়টি যাচাই করে দেখতে পারেন।

প্রসঙ্গত,  ১৭ই সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) শৃঙ্খলা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়, তদন্তে নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য নারায়নের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া ও তার ছেলে নক্ষত্রের ফলাফল বাতিলের নির্দেশনা দেয়া হয়। আর ২৩শে সেপ্টেম্বর তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

-মানবজমিন
Translate »