Type to search

Lead Story অস্ট্রেলিয়া কমিউনিটি

দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগে মেলবোর্নের বাসিন্দা খাইরুল ইসলামের অকাল মৃত্যু

Khairul Islam’s wife Umme Salma is always next to him. Source: Umme Salma

দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগে (এমএনডি ) গত বৃহস্পতিবার ২৯ জুন মেলবোর্নের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম সাচী মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৭ বছর।

গুরুত্বপূর্ণ দিক
  • খাইরুল ইসলাম ২০০৫ সালে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৭ বছর।
  • ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রথম তিনি তার মোটর নিউরন রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হন।
  • মোটর নিউরন রোগটির প্রভাবে মস্তিস্ক ও স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয় এবং এর কোন কার্যকর চিকিৎসা নেই।

খাইরুল ইসলামের মৃত্যুর খবরটি এসবিএস বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তার ভগ্নিপতি ডা. উৎপল দাশ।

মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে টার্নিট-এর মেলবোর্ন গ্র্যান্ড মসজিদে; রোববার (২ জুলাই) যোহর নামাজের পর।

মোটর নিউরন ডিজিজ বা এমএনডি কী?

মোটর নিউরন রোগটি সম্পর্কে ডা. উৎপল দাশ বলেন, এটি একটি নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিজঅর্ডার যার প্রভাবে সাধারণত ধীরে ধীরে রোগের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং দেহ আক্রান্ত হয়। এতে মস্তিস্ক ও স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয় এবং ধীরে ধীরে স্নায়ুতে তথ্য আদান-প্রদান হ্রাস পায় এবং এর ফলশ্রুতিতে রোগীর মৃত্যু ঘটে।

যে কোনো বয়সে এ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে ব্যথা ও অস্বস্তি, পেশির অসাড়তা, অস্থিসন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া, পেশিগুলোর সংযোগহীনতার অভাব এবং অস্থিরতাবোধ, খাদ্য গ্রহণে সমস্যা, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি।

খাইরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী

খাইরুল ইসলাম ২০০৫ সালে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, এরপর ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি এবং ২০১০ সালে নাগরিকত্ব পান।

এসবিএস বাংলা এর আগে খাইরুল ইসলামকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করে যেখানে তিনি ও তার স্ত্রী উম্মে সালমা রোগটি নিয়ে তাদের সার্বিক অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছিলেন।

তখন খাইরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রথম তিনি তার এই অসুখের বিষয়ে নিশ্চিত হন।

খাইরুল ছিলেন বন্ধুবৎসল

খাইরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাজমুল খান লিটু তার সম্পর্কে এসবিএস বাংলাকে জানান, “২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর থেকেই আমার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে ওর সাথে পরিচয়, প্রথম পরিচয়েই আমরা বন্ধু হয়ে যাই, ওর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রাণবন্ত হাসিটি আমার আজো মনে পড়ে। আমরা দীর্ঘদিন একসাথে থেকেছি, অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসাথে ব্যাডমিন্টন খেলেছি।”

“আমার বন্ধুদের কারোরই ওর সম্পর্কে কোন অভিযোগ ছিল না, ও এতটাই বন্ধুবৎসল ছিল।”

খাইরুল ইসলামকে একজন পরোপকারী বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে মি. লিটু বলেন, “ও অনেককে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে, অনেককে জব পেতে সাহায্য করেছে, এমনকি আমাকেও সাহায্য করেছে।”

পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের উদ্দেশ্যে খাইরুল ইসলামের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন খাইরুলের ভগ্নীপতি ডা. উৎপল দাশ।

এসবিএস বাংলা 

Translate »