ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলারদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের বিধিনিষেধ এখনই তুলে নেয়া হবে নাঃ স্কট মরিসন
অস্ট্রেলিয়ার স্টেট ও টেরিটোরির নেতারা একমত হয়েছেন যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য বর্তমান ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে যাতে অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টাইন সিস্টেমের ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলারদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের বিধিনিষেধ আপাতত বহাল থাকবে।
মিঃ মরিসন শুক্রবার বিকেলে ন্যাশনাল ক্যাবিনেটের এক মিটিংয়ের পর বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ভবিষ্যতে তিনি এবং স্টেট ও টেরিটোরির নেতারা এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে বলে প্রত্যাশা করলেও, এখনই বিধিনিষেধ শিথিল করার সময় নয়।
মি: মরিসন বলেন, এই মুহূর্তে সরকার সারা দেশের কোয়ারেন্টাইন সিস্টেমের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “আমরা সবাই একমত হয়েছি যে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলের নীতি যেমন আছে তেমনই থাকবে। আগামীতে পরিস্থিতি সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।”
এদিকে এক্টিং চিফ হেলথ অফিসার পল কেলি বলেন, করোনাভাইরাসের সিংহভাগ কেস তরুণদের ক্ষেত্রে হচ্ছে, যদিও এই প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধাশ্রমগুলোকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে।
তিনি বলেন, “তরুণ বয়সীরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই বিবেচনায় সারা অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে হবে।”
প্রফেসর কেলি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যেটা করছি তা হচ্ছে তরুণদের মধ্যে এই বোধ তৈরী করছি যে এটা কেবলই বৃদ্ধদের রোগ নয়, যে কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারে।”
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ভিক্টোরিয়ায় ৪৫০জন নতুন করে কোরোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে আরো ১১জন রোগী, মৃতদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ একজন নারীও রয়েছেন। মৃতদের ৭জন বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা ছিলেন। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় কোরোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬৬ জনে।
এদিকে ভিক্টোরিয়ায় কোরোনাভাইরাসে বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগী আছে ৭,৬৩৬ জন, যাদের ১৫৪৮ জনই বৃদ্ধাশ্রমগুলো থেকে শনাক্ত। হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা ৬০৭, যাদের ৪১ জন ইনটেনসিভ কেয়ারে আছেন।
ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল এন্ড্রুজ বলেন, রাজ্যে চতুর্থ পর্যায়ের কথিত কঠোর বিধি আরোপ করা হয়েছে, এর মানে হচ্ছে এতে আমাদের সাময়িক অসুবিধা হলেও দীর্ঘমেয়াদের জন্য তা মঙ্গলজনক।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যেককে একে অপর থেকে ১.৫ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে। আপনার রাজ্যের বিধিনিষেধগুলো দেখুন। আপনি যদি ঠাণ্ডা বা ফ্লুয়ের মত উপসর্গ অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসককে ফোন দিন অথবা করোনা ভাইরাস হেলথ ইনফর্মেশন হট লাইন ১৮০০০২০০৮০ এই নাম্বারে ফোন দিন।
সুত্র: এসবিএস বাংলা