শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: নারীসহ ৬ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ১৫
জেলা প্রতিনিধিঃ শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া গতকাল রবিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অন্তত: ১৫ জনের মত নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ হওয়া সাত জনের নাম পরিচয় জানিয়েছে তাদের স্বজনরা। জানা গেছে এদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ মধ্যে। উদ্ধারের পর লাশগুলি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে কার্যক্রম চলছে।
গতকাল রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর এলাকায় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এসকে-৩ রাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬টায় মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে সোয়া ৬টায় অপর একটি কর্গোর ধাক্কায় নদীতে নিমজ্জিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম বলেন, রাবিত আল হাসান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে। চরসৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নির্মাণাধীন সেতুর কাছে একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিকের নাম মোঃ আলাল হোসেন।
নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের দিকে রওয়ানা হয়। চরসৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় সেতুর কাছাকাছি স্থানে অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। কালবৈশাখী ঝড় ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে বলে তিনি জানান।
এদিকে লঞ্চডুবির সংবাদ পেয়ে যাত্রীদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাদের আহাজারিতে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে।
