Type to search

জাতীয়

নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ‘ব-দ্বীপ’ গড়ার লক্ষ্যেই ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এবিসিবি নিউজ-abcb news

‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সরকার ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘নিরাপদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব সহনীয় সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই তার সরকার বাংলাদেশ ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সাংসদ মশিউর রহমান রাঙ্গার একটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘‘বিশেষত এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে অতিক্রম করে দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জল ও খাদ্য সুরক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ উচ্চতর পর্যায়ের তিনটি জাতীয় অভীষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রণীত।’’

তিনি মনে করেন, ‘যেগুলো হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র দূরীকরণ এবং এই একই সময়ের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং ২০৪১ নাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অজন করা।’

শেখ হাসিনার মতে, ‘আন্তঃদেশীয় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহন স্যানিটেশদন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সব খাত বিবেচনায় রেখে দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সমগ্র একুশ শতক ব্যাপী ১৭টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা জিডিপি’র আড়াই শতাংশ। ৮০টি প্রকল্পের মধ্যে বর্তমানে ২৭টি প্রকল্প সরকার এবং পানিম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া ডেল্টা ফান্ডের কাঠামো ও ফান্ড পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দশ বছর মেয়াদি প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০ থেকে ২০২১) এবং ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) প্রণয়নেও সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।

Translate »