নিজেদের মাঠে খেলতে চায় বাংলাদেশ

প্রকোপ কমলেও এখনও করোনামুক্ত নয় বিশ্ব, মৃত্যুর মিছিল চলছেই। এরই মধ্যে ২০২২ বিশ্বকাপ আর ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচগুলোর সূচি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেই হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, কাতার, ওমান আর আফগানিস্তানকে নিয়ে গড়া ‘ই’ গ্রুপের খেলাগুলো মার্চের ২৫ ও ৩০ তারিখ এবং জুনের ৭ ও ১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এরই মধ্যে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটি দোহায় গিয়ে খেলে এসেছে বাংলাদেশ।
ফিরতি পর্বে তাদের যে তিনটি ম্যাচ বাকি, সেগুলো ঘরের মাঠেই খেলার কথা। কিন্তু ঝামেলা পাকিয়েছে ওমান। করোনাকালে গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলো একটা নির্দিষ্ট ভেন্যুতে আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা এবং সেই ভেন্যুটি নিজেদের মাটিতেই চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তবে এই প্রস্তাবে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ, বাকি থাকা ম্যাচগুলো নিজেদের মাঠেই খেলতে চায় তারা।
ওমানের এমন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে কাতার। ওমানে না হলে ম্যাচগুলো নিজেদের মাঠে আয়োজনেও আগ্রহী ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। গ্রুপের বাকি দুই দল ভারত আর আফগানিস্তান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছে নিজেদের অবস্থান। নির্দিষ্ট ভেন্যুতে বিশ্বকাপ আর এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের যে প্রস্তাব এসেছে, সেটা নিয়ে বুধবার জরুরি সভা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ন্যাশনাল টিমস কমিটি।
সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে- ওমান বা কাতারে নয়, নিজেদের মাঠেই বাছাইয়ের ম্যাচগুলো খেলবে বাংলাদেশ। যদি সেটাই হয় তাহলে ২৫ মার্চ আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত আর ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ তিনটি সিলেট স্টেডিয়ামে খেলবে জেমি ডের শিষ্যরা।
সভা শেষে বাফুফের সহসভাপতি এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানিয়েছেন, মূলত করোনা পরিস্থিতির কারণেই এমন প্রস্তাব এসেছে। সেই প্রস্তাবের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে যে সূচি আছে সেটা অনুযায়ী আমরা আমাদের ম্যাচগুলো বাংলাদেশেই খেলতে আগ্রহী। তবে ফিফা বা এএফসি যদি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেটা ভিন্ন কথা। আমরা হোমের সুবিধা নিতে চাই।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘বাংলাদেশের হোম ভেন্যু সিলেটে। আমরা সেখানেই তিনটি ম্যাচ খেলতে চাই।’