নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি: রিজভী
বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী সরকার এখন বেপরোয়া বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ওরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে দেবে না। বিরোধী দলের কেউ যদি সাহস করে নির্বাচনে নামে তাহলে তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। বিনাভোটের সরকার ও বেহায়া নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রযোজনায় এখন নির্বাচনী সার্কাস চলছে।
পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিজা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
রিজভী বলেন, এদেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন নামক শব্দটি চিরতরে উচ্ছেদের পর কোনভাবেই কেউ যেন এই বিষয়ে টু-শব্দ করতে না পারে সেজন্য দেশব্যাপী বিভিন্ন জনপদে সশস্ত্র আওয়ামী ক্যাডারদের মোতায়েন করেছে ভোটবিহীন সরকার। বিরোধেী দলে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হলে তার পক্ষে কেউ প্রচারণা চালাতে গেলে তাকে মরতে হয় কিংবা চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। সেই প্রতিহিংসার শিকার হলেন গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভাপতি হাবিজা বেগম।
বিএনপির এই নেতা জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ইসির অপকর্মের শাস্তির যে দাবি নাগরিক সমাজ করেছে তা এড়ানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আওয়ামী নেতারা চাপা দিতে চাচ্ছে গায়ের জোরে সত্যকে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তো সব দলের আস্থাভাজন হওয়া প্রয়োজন। সবার পছন্দ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এটা একটি সাংবিধানিক সংগঠন। কিন্তু শুধু আওয়ামী লীগই এই ইসিকে পছন্দ করে কেন? এটা একটা বিরাট প্রশ্ন মানুষের কাছে। কারণ আওয়ামী লীগের নির্বাচন নিয়ে, গণতন্ত্র ধবংস নিয়ে যে অপকর্মগুলো তার প্রত্যেকটার নির্বাচন কমিশন বৈধতা দিয়েছে। একেবারেই আওয়ামীলীগ সরকারের চাপরাসির ভূমিকা পালন করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।