ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য: মামুনুল, বাবুনগরী ও ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে মামলা
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে। ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আদালত সূত্র জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে মামলা গ্রহণের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ নভেম্বর মামলার আসামি মাও. মামুনুল হক গত রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বলে ছিলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না তারা। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর পুনরায় কায়েম হবে।’
একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করিম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে নেন যে, সংগ্রাম করব, ‘আন্দোলন করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না। কিন্তু দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক অথবা কাল হোক খুলে নিক্ষেপ করবে বুড়িগঙ্গায়।’
মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জোনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে থাকতে পারে না তাহলে কোনো ভাস্কর্য।’
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে জানান, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ছুড়ে ফেলা হবে ওই ভাস্কর্য।