Type to search

অপরাধ

লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোমের সহকারী মুন্না আটক


রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালের মর্গের ডোমের সহকারী হিসেবে কাজ করে মুন্না (২০)। রাতে মর্গে লাশ পাহারা দেয়া তার দায়িত্ব ছিল।কিন্তু মধ্যরাতে মেতে উঠতো সে এক বীভৎস কর্মকাণ্ডে। আত্মহত্যার মতো অপঘাতে নিহত তরুণীদের মৃতদেহের সাথে সে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতো। সবার অগোচরে দিনের পর দিন এই জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে মুন্না।

লাশ ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে আটক করেছে। এরপরই বেরিয়ে আসে এই কদর্য ঘটনার সংবাদ। উল্লেখ্য, মুন্না সরকারি ওই হাসপাতালের মর্গের প্রধান ডোম জতন কুমারের ভাগ্নে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় নিহতদের আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা ও প্রোফাইল তৈরি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মার্চ মাস থেকে একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে আসা কিছু আলামতের মধ্যে এইভিএস (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) বা পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আসল ঘটনা জানতে শুরু করেন তদন্ত সিআইডির কর্মকর্তারা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানার কয়েকটি ঘটনার পরে পাওয়া আলামতের ডিএনএ গবেষণা করে সবগুলোতে ডিএনএ পাওয়া যায় একই ব্যক্তির।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডোমের সহযোগী মুন্না ২-৩ বছর ধরে এই কাজ করছে। রাতে মর্গেই ঘুমাতো সে। সে রাতে ওই হাসপাতালে আসা লাশ পাহারা দিতো। রাতে কোনো তরুণীর লাশ আসলেই মেতে উঠতো বিকৃত যৌনাচারে সে। আত্মহত্যাকারী ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়েরাই ছিল মুন্নার বিকৃতির লক্ষ্য। ওই হাসপাতালের স্টাফ না হয়েও মামার সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিল বলে জানিয়েছে সিআইডি।

সিআইডি আরও জানায়, অধিকতর তদন্তে আত্মহত্যাকারীদের লাশের ময়নাতদন্তের আগে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। প্রতিটি ধর্ষণই রাতের নিরিবিলি সময়ে হতো। তদন্তের এক পর্যায়ে মুন্নার ডিএনএর সাথে সিআইডির প্রোফাইলে থাকা লাশের ডিএনএর নমুনা পাওয়া যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাসপাতালের মর্গ থেকে মুন্নাকে আটক করে সিআইডি।

ইন্টারনেট ঘেটে দেখা যায়, মৃতদেহের সাথে যৌন সম্পর্ক করা একটি মানসিক রোগ। এই ধরনের রোগকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় নেক্রোফিলিয়া বলা হয়ে থাকে।

Translate »