Type to search

বাংলাদেশ

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘেরাও বিকালে প্রস্থান

ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি ও মালয়েশিয়ায় ফেরার দাবি নিয়ে কয়েক হাজার প্রবাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছিলেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। গত রোববার রাত থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন প্রবাসীরা। সোমবার সকালে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেন এবং বিকেলে তা প্রত্যাহার করেন।

অবস্থানরত প্রবাসীরা জানান, করোনা মহামারির আগে ছুটিতে দেশে ফিরে আসেন তারা। কিন্তু, ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আর ফিরে যেতে পারেননি। তাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বেশিরভাগ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।

অবস্থানকারী এক প্রবাসী বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আমি ছুটিতে দেশে ফিরেছি। এখন পর্যন্ত আর যেতে পারিনি। আট মাস ধরে আমার কোনো কাজ নেই, কোনো আয়ও নেই। এভাবে আর কিছুদিন থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। আমি আবার আমার কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাই। একই রকম মন্তব্য করেন সেখানে উপস্থিত আরও কয়েকজন প্রবাসী।

সোমবার সকালে আন্দোলনরত প্রবাসীদের পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সাউথ-ইস্ট এশিয়া) এম জে এইচ জাবেদ। করোনা পরিস্থিতির কারণে মালয়েশিয়া সরকার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশিকে ঢুকতে দেবে না। সেদেশের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি।

মালয়েশিয়া সরকার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এই প্রবাসীদের ফিরে যেতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। জাবেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশি কর্মীদের সেদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করব। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে এই কর্মীরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুনরায় ভিসা নিতে পারবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা সরকার নেবে।

এরপর দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের পুনরায় ভিসা দেওয়ার ব্যাপারেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। সেই সঙ্গে, দেশে দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকার ফলে যারা অর্থ কষ্টে রয়েছেন তাদের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়েও তিনি কাজ করবেন বলে জানান। তার এমন আশ্বাসে অবস্থানরত প্রবাসীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

Translate »