এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা চালুর পথে সরকার : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ‘বিশেষ বিশেষ শক্তিতে’ বলীয়ান হয়ে দেশে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। রবিবার সকালে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে না। শুধু জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে একদলীয় শাসনব্যবস্থা, প্রকৃতপক্ষে একব্যক্তির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।
তার দাবি- আমরা অনেক বলেছি, মানববন্ধন, মিছিল, হরতাল বহু কিছু করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত এই সরকারের টনক নড়াতে পারিনি। কারণ তারা বিশেষ বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আছে।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক হয়েছে, এভাবে আর চলতে পারে না। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। জনগণের চোখের ভাষা পড়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যাথায় জনগণের উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হবে; সেই ঢেউয়ে আপনারা সবাই ভেসে যাবেন।
মির্জা ফখরুল জনগনের উদ্দেশে বলেন- আপনারা আর নিশ্চুপ থাকবেন না। আমাদের সবাইকে আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে, অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে, আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য আজকে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ যারা ভিন্নমত পোষণ করে লেখালেখি করে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো কথা বলে, তখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। যে মামলাতে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা একটা মিথ্যা অপবাদ, একটা অপব্যাখ্যা। আইনের একটা অপব্যাখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বিনা জামিনে আটকে রাখা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারাদেশে একটা ভয়ের, একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে। রেইন অব ট্রেরর এবং সেটা করে তারা জোর করে বন্দুকের জোরে, ক্ষমতার জোরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজী, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের মুক্তি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের নেতা সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ছড়াকার আবু সালেহ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আবদুল করীম, শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, প্রকৌশলী ফখরুল আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, জাসাসের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।