Type to search

জাতীয়

নীতিহীন সাংবাদিকতা অকল্যাণকর : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকতাটা আমরা নিরপেক্ষ, বাস্তবমুখী এবং দেশ ও জাতির প্রতি যেন কর্তব্যবোধ থেকে হয়- সেরকমই চাই। নীতিহীন সাংবাদিকতা কোনো দেশের কল্যাণ আনতে পারে না। আপনারা নিশ্চয়ই সেই দায়িত্বশীলতা নিয়ে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করবেন। রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

দুর্নীতি ও সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে রিপোর্ট সরকারকে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের রিপোর্ট পড়ে পড়ে বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক সময় অনেক ঘটনা আসে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই রিপোর্ট দেখে অনেক অসহায় মানুষের যেমন দাঁড়াই, আবার অনেক অন্যায় ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারও করতে পারি। অনেক দোষীকেও আমরা শাস্তি দিতে পারি এবং দিয়ে থাকি। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আপনারা অনেক সময় রিপোর্ট করেন। সেজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এইটুকু অনুরোধ করব- আপনারা যেমন ধন্যবাদ যোগ্য কাজও করেন কিন্তু আবার এমন রিপোর্টও করেন, যেটা মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় বা মানুষ বিপথে যায়। সেদিকে আপনাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীতিহীন সাংবাদিকতা কোনো দেশের কল্যাণ আনতে পারে না বরং ক্ষতি করে। হয়তো কিছু মানুষ অর্থ সম্পদের মালিক হতে পারে কিন্তু অর্থ-সম্পদ সবসময় কাজে লাগে না। এই করোনাভাইরাস হওয়ার কারণেই তো এটা আজকে প্রমাণিত যে কোটি কোটি টাকা থাকলেও অনেক সময় কাজে লাগে না। করোনাভাইরাস সারাবিশ্বব্যাপী এই একটা শিক্ষা দিয়ে গেছে মানুষকে। শুধু অর্থ সম্পদ বা নিজের স্বার্থপরতা কখনো কাউকে রক্ষা করতে পারে না। যা হোক, এই নীতিহীন সাংবাদিকতা যেন না হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০০৮ নির্বাচনে দিন বদলের ডাক দিয়েছিলাম। রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম। এরপর আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিই। ২০১০-২০২০, এখন আমরা ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান করেছি। অর্থ্যাৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের জীবনটা যেন সুন্দর হয় উন্নত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনার একটা কাঠামো রেখে যাচ্ছি। হ্যাঁ, সময়ের তাগিদে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিজ্ঞানের প্রভাবে হয়তো সময় সময় এগুলো সময়োপযোগী করতে হবে কিন্তু এরই ভিত্তিতে আমরা যদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমাদের দেশের কাজ করি, এই দেশ এগিয়ে যাবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এদেশ ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে উঠবে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কোনদিন ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

Translate »