Type to search

জাতীয়

করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় দফা বিস্তার প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধানের জন্য আবারও জনসাধারণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন। আমেরিকা ও ইউরোপে নতুন করে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে করোনাভাইরাস নিয়ে স্পেশাল আলোচনা হয়েছে। আমরা সব জায়গা থেকেই দেখছি, ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং থেকে দেখছি, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপ- সেই সব জায়গায় আবার করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন থেকে মিটিংয়ে কথাবার্তা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নজর দিচ্ছেন যে, সবাই যাতে একটু সর্তকভাবে থাকে, বিশেষ করে আমরা যেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করি।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘বাকি কী হবে না হবে সেটা তো একটা অজানা বিষয়। আমরা সবাই যদি মাস্ক ব্যবহার করি, তা হলে আমাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে আসে। তাই, মিডিয়ার বন্ধুদের অনুরোধ করবো, যেভাবেই হোক মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা দৃঢ় ইচ্ছা ও আশা করেছে যে, সবাই যদি মাস্ক ব্যবহারে আরও একটু মনযোগী হয়, তাহলে অটোমেটিক্যালি এটা থেকে রিলিভ পাব আমরা। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেন সবাই নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করি। অন্তত যখন ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন এটা করি।’

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরাতে যেভাবে যতটুকু সম্ভব যেন মানুষকে অনুরোধ করে। যদি আইন প্রয়োগ করতে হয়, ফোর্স করতে হয়, তাহলে আইন প্রয়োগ করব।’

বর্তমান সরকারের সময়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ৪২৭টি। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৫৪টি। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮২ দশমিক ৯০ শতাংশ। ৭৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্তের শতকরা হার ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

Translate »