Type to search

রাজনীতি

সাইফুল হত্যা: ইন্ধনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ

চট্টগ্রাম আদালতের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন দিন পর হত্যা মামলা করেছে তার পিতা। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ  অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন-নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। মামলার এজাহারে আলিফের বাবা অভিযোগ করেন, গত ২৬শে নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আসামির পক্ষের ইসকনপন্থি আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করে এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করে। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের অনুসারী এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজনভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়।

আরও উল্লেখ করা হয়, প্রিজনভ্যানের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করলে আদালত চত্বর ত্যাগের সময় মসজিদসহ আইনজীবী ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে ওরা। একইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলে এডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রকাশ আলিফ বাসায় যাওয়ার সময় তার মুখে দাড়ি দেখে আসামিরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তারা বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের নামে জয়ধ্বনি দেয়। স্থানীয় লোকজন ও ছেলের সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি জেনেছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে আসামিরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে। এদিকে এ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪শ থেকে ৫শ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহত আলিফের  বড়ভাই খানে আলম। এ নিয়ে আলিফ হত্যা,  আদালতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ৫টি মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে আটক করা হয়েছে ৩৯ জনকে। আটককৃত ৬ জনকে আলিফ হত্যা মামলায় আসামি দেখানো  হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা, সোলতানা বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনায় শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হত্যা মামলায় যাচাই-বাছাই করে আসামির নাম দেয়া হয়েছে।

-মানবজমিন

Translate »