আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী আ.লীগ নেতা শ্যামলের শাস্তি চায় টাঙ্গাইলবাসী
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল খানের শাস্তি চান টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষ। শ্যামল খান টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার বাসিন্দা ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শ্যামল খানের বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। বিদেশের মাটিতে তার এই ঘটনা টাঙ্গাইলে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী মনসুর বিন সাইদ বুলবুল বলেন, আইন উপদেষ্টার সাথে এই দুর্ব্যবহার করায় শ্যামল খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এলাকাবাসী মো. মামুন বলেন, বিগত দিনে জাতীয় নির্বাচনের সময় শ্যামল খান দেশে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের টাকা দিতেন। আমরা তার বিচার চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের জেলা সমন্বয়ক মো. আল আমিন বলেন, ড. আসিফ নজরুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের একজন অগ্রণী যোদ্ধা। তার সাথে টাঙ্গাইলের শ্যামল খানসহ অন্যান্যরা যে আচরণ করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
শ্যামলা খানের ভাই কামরুল হাসান খান বাবুল বলেন, শ্যামল খান প্রায় ৩০ বছর যাবত সুইজারল্যান্ডে বসবাস করে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে শ্যামল খান চতুর্থ। শুনেছি সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত ৭ নভেম্বর দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারী তাকে বিরক্ত করেছেন। সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানসহ অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা সেখানে নেতৃত্ব দেন।
-ইনকিলাব