Type to search

অপরাধ

প্রতারক রিজেন্ট সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার হোতা রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা একটি মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

এই আইনের অপর ধারায় প্রতারক সাহেদকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, উভয় ধারা একসাথে কার্যকর হবে।

রায় ঘোষণার আগে বেলা ১১ টার দিকে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয় তাকে এবং পরে এজলাসে তোলা হয়। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় আদালতে সাক্ষ্য দেন ১১ জন।

করোনা টেস্ট নিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ উঠে। পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় র‌্যাব অভিযান চালায়। অভিযানে ভুয়া করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

এ ঘটনার পর সাহেদ করিম পালিয়ে যান। ১৫ জুলাই মো. সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে যোগে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৬ জুলাই মো. সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।

সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে ৫ বোতল বিদেশি মদ, একটি পিস্তল, ১০ বোতল ফেনসিডিল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ২টি মামলা করা হয়।

৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাহেদ করিম বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। মামলাটির ৮ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হয়।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস টেস্ট নিয়ে প্রতারণার হোতা মো. সাহেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অর্ধশত মামলা রয়েছে। এর বেশিরভাগই জালিয়াতি ও  প্রতারণার অভিযোগে করা।

Translate »