আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে সরাতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের কোনো রকমের মূল্যবোধ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার তো গণতন্ত্রই বিশ্বাস করে না। ক্ষমতাসীন দল ও গণতন্ত্র একসাথে যায় না। ওদের যে রসায়ন গণতন্ত্র হয় না তার মধ্যে। ওদের ভাবটাই হচ্ছে যে, আমি (মির্জা ফখরুল) ছাড়া আর কেউ নেই। একমাত্র আমি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করবো, আমি দেশ চালাবো।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মুক্ত সাংবাদিক অন্তর্ধান দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, এটা নি:সন্দেহে সবচেয়ে খারাপ সময়। ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে এমন একটা অবস্থা তৈরি করে ফেলা হয়েছে যে-আজকে কেউ বলতে কিংবা লিখতে সাহস করছে না। যত সাংবাদিক এখন বেকার আছেন, এতো বেকার কখনো বেকার ছিলো না। পঁচাত্তর সালের মতো সরকারের কথা যারা বলবে, তাদের পক্ষে যারা থাকবে, তাদের চ্যানেল চলবে, তাদের পত্রিকা চলবে, তাদের গণমাধ্যমগুলো চলবে। অন্য যারা আছে তাদের গুলো চলতে দেবে না তারা।
দেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে কেউই রক্ষা পাবে না গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছাড়া। সাংবাদিকতা, গণতন্ত্রকে কাউকেই রক্ষা করা যাবে না, রক্ষা করা যাবে না দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও। অবস্থা বদলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। একটাই পথ বদলে দেওয়ার। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ আওয়ামীলীগ সরকারকে সরাতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনই হচ্ছে তার একমাত্র পথ।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পারোয়ার, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের বাকের হোসাইন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, ফটো জার্ণালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন বক্তব্য দেন।