Type to search

Lead Story রাজনীতি শিক্ষা সারাদেশ

সিলেট ও ফরিদপুরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ার সেল নিক্ষেপ

সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য সমবেত হওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর বল প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যুবলীগ ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এতে ১০জন গুরুতর ও শতাধিক আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সাংবাদিক হাসান নাঈম জানান, শনিবার সারাদেশে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে বেলা তিনটা থেকে সিলেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক, শ্রমজীবী ও সাধারণ জনতাও বিক্ষোভে যোগ দেন। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।

এসময় চৌহাট্টা পয়েন্টসহ নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নেয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে বিকাল পাঁচটার দিকে পুলিশ অতর্কিতভাবে শিক্ষার্থীদের উপর সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ মিছিল পণ্ড করে দেয়।

নগরের চৌহাট্টা, মিরবক্সটুলা, জিন্দাবাজার, দরগা গেইটসহ বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় পঞ্চাশ রাউন্ডের অধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। পুলিশের সাথে সিলেট জেলা যুবলীগ ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

এতে তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, রড ও লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। আহতরা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল, মাউন্ট এডোরা, ইবনে সিনাসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদের মধ্যে ১০জন গুরুতর ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফয়সাল আহমেদ।

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দুইজন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল মেরেছে পুলিশ।

স্থানীয় সংবাদদাতা পান্না বালা জানান, এর আগে সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা।

সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে মাঝপথেই শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের ওপর হামলা করে।

পরে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

কিন্তু সামনে আগাতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এসময় ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ১০ জন।

পরে বিক্ষোভকারীরা আবার মেডিকেলে ফেরত আসার সময় সংঘবদ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা।

তাদের বাধা দিতে আবারও আট থেকে ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।

কিন্তু পুলিশের দিকেই বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে টিয়ারশেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে লাগে।

ফিরে এসে মেডিকেল সড়কের সামনে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।

সংঘর্ষের সময় নিজের শটগানের গুলিতেই এক নারী ডিবি কর্মকর্তার আহতহওয়ার খবর পাওয়া গেছে।-বিবিসি বাংলা

এবিসিবি/এমআই

Translate »