নির্বাচনের আগেই সরে দাঁড়ালেন ৭৮ এমপি, সংকটে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ছয় মাস আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় অনেকেই প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রতি ক্ষুব্ধ। নির্বাচনের আগেই তার দলের ৭৮ এমপি পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন ঋষি সুনাক। খবর রয়টার্সের।
তিনি ইতিমধ্যে নির্বাচনি প্রচারণাও চালিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সুনাক অঙ্গীকার করেছেন, তিনি ফের ক্ষমতায় এলে বয়স ১৮ বছর হলেই সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
পদত্যাগীদের মধ্যে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও রয়েছেন। একের পর এক এমপি জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন। ব্রিটিশ প্রথা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন শেষ করতে হবে। কিন্তু সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই দাবি উঠছিল যে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, গত কয়েক মাসে কনজারভেটিভ পার্টির
প্রতি ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের আস্থা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে হার অবধারিত বলেই দলের একাংশের মত। কিন্তু দলের মতামতকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক।
তিনি জানিয়ে দেন, আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। সেখানে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। দলীয় মতের ‘বিরোধিতা’ করে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণায় সুনাক বলেন, ‘ব্রিটেনের ভবিষ্যত্ বেছে নেওয়ার সময় এসে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তার নেতৃত্বেই আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাবে দেশ। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই কনজারভেটিভ এমপিরা জানিয়ে দেন, আসন্ন নির্বাচনে তারা লড়তে চান না। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও। এমপিদের মধ্যে অনেকে রাজনীতিও ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কারণ, অনেক এমপি মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে তাদের হার নিশ্চিত।
এবিসিবি/এমআই