নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ: শিশু ও ইমামসহ নিহত সংখ্যা বেড়ে ২০

জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে আহতদের আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট ২০ জনে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো। এদের মধ্যে ১ শিশুও এবং ইমাম রয়েছে। বিষ্ফোরণে আহতরা ১৭ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন। শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। এদের প্রত্যেকের শরীরে পুড়ে গেছে ৩০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত।
আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এ পর্যন্ত এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। তারা হলেন-মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (৭), রিফাত (১৮), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭) ও জামাল (৪০)।
ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালেই একাধিক এসির বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটনার মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে মুসল্লীরা দগ্ধ হতে থাকে। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লীদের আর্তনাদ।
পরে তাদের আশেপাশের লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে। অনেকের শরীরের কাপড় ছিল না তাদের। আগুনে পুড়ে যায় তাদের শরীরের কাপড়গুলো। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকার বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ বলেন, অগ্নিদগ্ধের মধ্যে ২০জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পুড়ে গেছে তাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ। পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছেইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ৩৭ জনকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।