Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

গাজার পক্ষে বিক্ষোভ: চ্যালেঞ্জের মুখে জো বাইডেন থেকে সিটি মেয়র

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতি ও অস্ত্র সহায়তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি বাইডেনের আমন্ত্রণে ইফতারের আয়োজনও বর্জন করেছেন আমেরিকান মুসলিম নেতারা। এখানেই শেষ নয়, এর আগে থেকেই ডেমোক্র্যাট দলের রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন চরম প্রতিবাদের মুখে। গাজা যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের এমন কর্মসূচির কারণে আসন্ন প্রসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার নিয়ে চরম চ্যালেঞ্জে পড়েছেন দলটি, যা বাইডেন থেকে শুরু করে স্থানীয় সিটি মেয়র পর্যন্ত গড়িয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

গত মাসে ম্যানহাটনের বিনোদন ভেন্যু ও থিয়েটার রেডিও সিটি মিউজিক হলে বড় পরিমাণ নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করতে অনুষ্ঠান করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কিন্তু ভেন্যুর বাইরে জড়ো হন ফিলিস্তিনের পক্ষের শত শত বিক্ষোভকারী। শুধু বাইরেই নয়, ভেতরেও প্রবেশ করেন বেশ কয়েকজন। এতে ব্যাহত হয় অনুষ্ঠান।

শুধু এটিই নয়, দক্ষিণ ক্যারোলিনার একটি ঐতিহাসিক গির্জায়ও একইভাবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে পড়েন বাইডেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বাইডেন সরাসরি জড়িত।

এত গেল বাইডেনের কথা। ডেমোক্র্যাট দলীয় স্থানীয় পর্যায়ের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও একইভাবে প্রতিবাদের মুখে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান পর্যন্ত শেষ করতে বাধ্য হচ্ছেন মাঝপথে।

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে বিক্ষোভকারীরা হাত মাইক নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হওয়ায় এক কংগ্রেসম্যানের হলিডে পার্টির অনুষ্ঠান ব্যাহত হয়। কলোরাডোর ফোর্ট কলিন্সে ঠিক একইভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ করার কারণে সিটি মেয়র হঠাৎ করেই তাঁর সভা শেষ করতে বাধ্য হন।

এভাবেই বাইডেন প্রশাসনের যুদ্ধ পরিচালনার নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সিটি হল থেকে কংগ্রেস, এমনকি হোয়াইট হাউস পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রচারের ক্ষমতাকেও জটিল করে তুলছে।

ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগ, যুদ্ধ হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে হলেও এর বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে, তা আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটারদের হতাশাগ্রস্ত করতে পারে।

এ বিষয়ে পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর জন ফেটারম্যান বলেন, ‘আপনি যদি এখন বাইডেনকে সমর্থন করা থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য লোকদের সংগঠিত করেন, তাহলে আপনি এখন আসলে ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। তাঁকে সাহায্য করছেন।

ফিলিস্তিন ইস্যুর কারণের অনেকে মনে করেন, বাইডেনকে অবশ্যই তাদের ভোট অর্জন করতে হবে। তবে ডেমোক্র্যাট নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করলে বরং হিতে বিপরীত হবে।

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন সীমিত করতে এখন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটদের ওপরই চাপ এসেছে। কিন্তু সেই হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ততটা আলোচনায় আসেননি।

এ ছাড়া গাজা যুদ্ধ নিয়ে খুব কমই বলেছেন ট্রাম্প। তিনি শুধু বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত যুদ্ধ ‘শেষ করা’।
ইসরায়েলকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতাকারী ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের বাইডেনকে সমর্থন করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। তাঁর যুক্তি, ট্রাম্প ফিলিস্তিনি অধিকারের ইস্যুতে আরও খারাপ হবেন। তবে বর্তমান সময়ের যন্ত্রণা ও হতাশার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় বর্তমানে যে মানবিক বিপর্যয় চলছে, তাতে প্রতিবাদকারীদের ক্ষুব্ধ হওয়া অযৌক্তিক নয়।’-সমকাল

এবিসিবি/এমআই

Translate »