Type to search

খেলাধুলা

সিরিজ জয়ের আশায় মাঠে নামবে টাইগাররা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচে জয়ের জন্য চার বছর এবং সিরিজ জয়ের জন্য ১৯ বছর অপেক্ষা করেছিল বাংলাদেশ। এবার লায়নদের বিপক্ষে পরপর দুই সিরিজ জয়ের হাতছানি টাইগারদের সামনে। আজ দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচটিতে নাজমুল হোসেন শান্তর দল জিতেছিল ছয় উইকেটে। আজকের ম্যাচটি জিতলে ঘরের মাটিতে পরপর দুই সিরিজে লঙ্কানদের হারানোর কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে মিরপুরে ২০২১ সালে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সেই সিরিজে প্রথম বারের মতো লঙ্কানদের হারিয়েছিলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার জয় পেলেই তামিম ইকবালের পর নতুন মাইলফলকে নাম লেখাবেন শান্ত। এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে মোট আটটি সিরিজ হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে হয়েছে তিনটি, বাকি পাঁচটি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।

২০০২ সালে প্রথম বারের মতো ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের সেই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগার বাহিনী। এরপরের সিরিজটি ছিল তিন বছর পর। সেখানেও লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের একই লজ্জায় ডুবতে হয়েছিল। পরের বছর অবশ্য হারের ব্যবধান ছিল ২-১। তাতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের কোনো ম্যাচে জয় তুলে নিতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল চার বছর। ২০০৭ সালে লায়ন-টাইগারদের তিন ম্যাচের সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালেও ভাগ্য বদলায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। ২০১৭ সালে এসে প্রথম বারের মতো ওয়ানডে সিরিজ হার এড়াতে পারে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় সেবার ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল তিন ম্যাচের সিরিজটি। ২০১৯ সালে আবারও ৩-০ ব্যবধানে হার দেখেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভাগ্য সহায় হয়েছিল ২০২১ সালে। তিন ম্যাচের সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে প্রথম বারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দখলের কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ। ঐ সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবাল। এবার নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে তামিমের পর লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প বলেছেন, ‘অনেকগুলো বিষয়ই এখানে কাজ করেছে। অধিনায়কের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়াটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেটা করার কথা বলি, সেটা করে দেখানো কিংবা সেটাকে কাজে পরিণত করেছে শান্ত।’ তাতে আজকের ম্যাচে সেটি ধরে রাখতে পারলে ফল বাংলাদেশের পক্ষে আসাটা অসম্ভব কিছু নয়। প্রথম ম্যাচ শেষে মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, ‘যখন একটা মানুষের দায়িত্বটা বেশি থাকে, সবকিছু নিয়ে চিন্তা করে, তখন কিছু কিছু মানুষ তাদের সেরা খেলাটা খেলে। আর শান্ত এমন একটা মানসিকতার ছেলে যে দায়িত্বটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় এবং সেটাকে সফলভাবে পালনও করে। ও যেভাবে প্রক্রিয়া মেনে কাজ করে গেছে, আমার মনে হয়েছে, ওর রানে ফেরাটা শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল।’ শান্তকে নিয়ে মুশফিক আরো বলেছেন, ‘শান্তর সেরাটা এখনো বাকি। এর চেয়েও দাপট দেখিয়ে সে খেলে। ওর মধ্যে একটা পরিবর্তন এসেছে, আগে একটা ভালো শুরু পেলে ৫০-৬০ রান পর্যন্ত থাকত। এখন ম্যাচ শেষ করে আসছে, বড় ইনিংস খেলছে… এতে বোঝা যায় সে দলের জন্য কতটা চিন্তা করে।’ অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে তার প্রমাণও দেখিয়েছেন শান্ত। এবার সিরিজ জয়ের অপেক্ষা মাত্র।

এবিসিবি/এমআই

Translate »