Type to search

আন্তর্জাতিক

ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ক্ষমা চাইলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট

মালদ্বীপের ‘ভারত বর্জন’ নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। বিশেষ করে দেশটির পর্যটন খাত নিয়ে তিনি বেশি চিন্তিত। বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন নাশিদ। এরমধ্যেই শুক্রবার তিনি মালদ্বীপের জনগণের পক্ষে ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। খবর এনডিটিভি।

গত বছরের নির্বাচনে মোহাম্মদ মুইজ্জু দ্বীপপুঞ্জটির ক্ষমতায় আসেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা চালিয়ে। তিনি চীনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পরপরই শুরু হয় তার নেতৃত্বে ‘ভারত বর্জন’ নীতির বাস্তবায়ন। তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার করার সময়সীমাও বেঁধে দেন।

এরপরই শুরু হয় ভারত-মালদ্বীপের কূটনৈতিক টানাপোড়েন। তবে ভারতীয়রা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মালদ্বীপের পর্যটন খাতে ভারতীয় পর্যটকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা ভ্রমণের জন্য মালদ্বীপ বর্জন করার নীরব প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন। আর দেশটির অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত পর্যটন।

পর্যটন খাতের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নাশিদ বলেন, ‘এটি মালদ্বীপকে অনেক প্রভাবিত করেছে। আমি এখন ভারতে আছি। আমি এটা নিয়ে খুব চিন্তিত। আমি বলতে চাই মালদ্বীপের মানুষ এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। আমরা দুঃখিত এমনটা ঘটেছে। আমরা চাই ভারতীয় জনগণ মালদ্বীপে ঘুরতে আসুক। আমাদের আতিথেয়তায় কোন পরিবর্তন হবে না।’

এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের ঐতিহাসিকভাবে দায়িত্বশীল পদ্ধতির কথা স্বীকার করে নাশিদ বলেছেন, চাপ প্রয়োগের পরিবর্তে ভারত কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তাব করেছে।

তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি যখন ভারতীয় সেনাদের চলে যেতে বলেছেন তখন ভারত কী করেছিল জানেন? তারা তাদের অস্ত্র ধরেনি। তারা পেশীশক্তিও দেখায়নি। কেবল মালদ্বীপ সরকারকে বলেছিল, ঠিক আছে, আসুন আলোচনা করা যাক।’

মালদ্বীপ ও চীনের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে নাশিদ এটিকে প্রতিরক্ষা চুক্তি নয় বরং সরঞ্জামের অধিগ্রহণ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মুইজ্জু কিছু সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিলেন। প্রধানত রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার মনে করে আরও টিয়ার গ্যাস এবং আরও রাবার বুলেট দরকার। আসলে বন্দুকের নল দিয়ে শাসন করা যায় না।’

এবিসিবি/এমআই

Translate »