গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩০৩২০

ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ হাজার ৩২০ জন নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯২ জন নিহত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ৩০ হাজার ৩২০ জনে দাঁড়ালো। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট ৭১ হাজার ৫৩৩ জন আহত হয়েছে।
এদিকে তীব্র খাদ্য সংকটে থাকা গাজার বাসিন্দারা পশুখাদ্য, এমনকী ক্যাকটাস খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে শিশুরা তীব্র অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই মানবিক সংকট সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করছে না। অপ্রতিরোধ্য বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে গাজা সিটির কাছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা একটি ত্রাণ বহরের কাছে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে অন্তত ১১২ জন নিহত হয়।
৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় পাঁচ মাসে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে গাজাবাসী ক্রমাগত মরিয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের নির্মম অবরোধ ও নির্বিচার হামলায় দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা গাজায় বিমান থেকে খাদ্য ত্রাণ ও অন্যান্য সরবরাহ ফেলবে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে আসা শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পরদিন শুক্রবার বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি। তবে ফ্রান্স ও জর্ডানসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে।
এবিসিবি/এমআই