৪ ইসরায়েলিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ৭৫ বছরের ইতিহাস পাল্টালো আমেরিকা

গত ৭৫ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চার ইসরায়েলি নাগরিককে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়ে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার অভিযোগে সেখানকার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ওই চার ইসরায়েলীকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। খবর বিবিসি।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইসরায়েলিরা হলেন ডেভিড শাই চাসদাই (২৯), ইনোন লেভি (৩১), ইনান তানজিল (২১) এবং শালোম জিচেরমান (৩২)। নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং সেখানে কোনো সম্পদ কিনতে পারবেন না এই চার ইসরায়েলি। যতদিন নিষেধাজ্ঞা থাকবে- ততদিন দেশটিতে অর্থনীতি এবং অর্থব্যবস্থার সঙ্গেও কোনো ভাবেই সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না তারা।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশকে তারই ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। আদেশে বাইডেন বলেছেন, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি–বিশেষ করে উগ্রপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের মাত্রাতিরিক্ত সহিংসতা, মানুষকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা এবং সহায়–সম্পত্তি ধ্বংস করা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।
নিষেধাজ্ঞার আদেশে বাইডেনের স্বাক্ষরের পরপরই এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী বেশির ভাগ বাসিন্দা ‘আইন মেনে চলে’। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দপ্তর থেকে বলছে, ইসরায়েল সব জায়গাতেই আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তাই এ বিষয়ে কারও অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলমান এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এবিসিবি/এমআই