বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদন করেছে তার পরিবার
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে তার পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বেগম জিয়ার আইনজীবী বলেন, চাইলে সাজা মওকুফও করতে পারেন সরকার। তবে দুদকের আইনজীবী বলছেন, আদালতের আদেশ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার নেই সরকারের। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এবার স্থায়ী মুক্তির আবেদন করেছে তার পরিবার। শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার ছোটভাই শামিম ইস্কান্দার আবেদন করেন।
আবেদনে জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তার শারীরিক অসুস্থতার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। তাই আবারো সাজা মওকুফের আবেদন করছি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রথমবারের মতই বেগম জিয়ার ছোটভাই এবারও মুক্তির আবেদন করেছেন।
গত ২৫ মার্চ দুই শর্তে মানবিক কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিতাদেশের পর ৬মাসের জন্য মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। সেই সাজার মেয়াদ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দণ্ডিত হয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া। এরপরই অসুস্থতার কারণে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
