Type to search

অর্থ ও বাণিজ্য বাংলাদেশ

পেঁয়াজের দাম একদিনেই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবার যে কারণ জানা যাচ্ছে

শুক্রবার মানে আটই ডিসেম্বর সকালেও যে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সন্ধ্যা পেরুতেই তার দাম দুইশো ছাড়িয়ে যায়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, এমন খবর আসা মাত্র র‍ীতিমতো যেন দেশের বাজার জুড়ে প্যানিক ছড়িয়ে পড়ে।

বাজার ঘুরে ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া সবখানে একইরকম দেখা গেল – হতাশ, ক্ষুব্ধ আর অসহায়। অন্যদিকে, বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

শুক্রবার দুপুরে আমি যখন বগুড়ার বনানী বাজারে, সেসময় বিক্রেতাদের সামনে নতুন দেশী পেঁয়াজের পসরা। এখানে সাধারণত পাইকারি দরে বেচাকেনা চলে, তারপরও পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি শুনে একটু পিছিয়ে আসি, ভাবলাম ঢাকাতেও তো কাছাকাছি দাম, শুধু শুধু এখান থেকে কিনে এতটা পথ বয়ে নিয়ে যাওয়ার কী দরকার!

শনিবার সকালে ঢাকায় বাজারে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার যোগাড়, ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই সব রকম পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে।

দ্রুত বগুড়ায় বন্ধুকে ফোন করি, আমার গতকালের ভুল শোধরানোর জন্য। বলি সে যেন ঢাকায় আসার সময় আমার জন্য পাঁচ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে আসে। বন্ধুর উত্তর, “এখানেও এখন পেয়াঁজ ২০০ টাকা কেজি।”

আমার পেয়াঁজ কেনা হয় না, তবে পেয়াঁজ আমার পিছুও ছাড়ে না। অফিসে এসে পেঁয়াজের বাজার নিয়েই রিপোর্ট করতে বের হতে হয়।

ততক্ষণে বুঝে যাই বাজারের প্রধান চরিত্র এখন পেয়াঁজ। চারদিকে নানান গুঞ্জন, ফিঁসফাস, তর্কাতর্কি পেয়াঁজ নিয়ে। দেশী এবং ভারতীয় – দুই ধরণেই পেঁয়াজের দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে।

বাজারে কী পরিস্থিতি?

ঢাকার বাড্ডা বাজারে যখন যাই, সেসময় বেশ হন্তদন্ত হয়ে বিক্রেতার এক পরিচিত কাস্টমার হাজির।

তিনি জানতে চান, “ভাই পেয়াঁজের খবর কী বলেন তো?” দোকানী বলেন, “খবর খুব খারাপ, দাম ২০০ ছাড়িয়েছে।” সে বেচারা পেয়াঁজ না কিনেই ফেরত গেলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যবয়সী দোকানদার জানালেন, ভারতীয় পেয়াঁজ বন্ধ শুনেই বাজারের এ অবস্থা, আগের দিনেও দাম ৭০-৮০ টাকা কম ছিল।

তিনি বলেছেন, আগে এমন ঘোষণার পর একটু সময় লাগতো দাম বাড়তে, কিন্তু এখন একেবারে সাথে সাথে খবর চলে আসে, সাথে দামও বেড়ে যায়।

ব্যবসায়ীর সাথে আমার কথপোকথনের মাঝেই আরেকজন ক্রেতা এলেন এক কেজি পেয়াঁজ নিতে। কিন্তু দাম শুনে তিনি শেষ পর্যন্ত আধাকেজি পেয়াঁজ নিয়ে ফেরত গেলেন।

এখানে দাম বেশি বলে কোন কোন দোকানী পেঁয়াজ তোলেননি নিজের দোকানে। খায়ের মিয়া নামের একজন দোকানী বললেন, “বিপদে পড়তে চাই না।”

তিনি মূলত বিপদ বলতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের হঠাৎ অভিযানকে বুঝিয়েছেন, আর এ নিয়ে তিনি বিরক্তও।

কারণ, তিনি বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ আছে। “বাজারে মালও আছে, আবার দামও বাড়বে, এটা কোন যুক্তি? না থাকলে দাম বাড়তে পারে!”

পেঁয়াজের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে

পেঁয়াজের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে

ভারতের যে সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশে সরকারি হিসেবেই চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়ে থাকে। কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর বলছে, ২০২০-২০২১ সালে বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা ছিল সোয়া ২৬ লক্ষ মেট্রিক টন।

কিন্তু সে বছর উৎপাদন হয়েছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

তবে এর প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ পেঁয়াজ সংগ্রহ করার পর নষ্ট হয়ে যায়। সেই ঘাটতি পূরণে বাকি পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ সরকার।

এক্ষেত্রে পরিবহন ও মূল্য বিবেচনায় পেঁয়াজ আমদানিতে প্রতিবেশি ভারত থাকে সবসময় প্রথম পছন্দ।

ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২২-২৩ সালে দেশটি সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশে, যার পরিমাণ ছয় লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি।

তবে গত বৃহস্পতিবার মানে সাতই ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয় আটই ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে থেকে ৩১শে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করছে।

ভারতের বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির সরকার বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজ শুক্রবার পর্যন্ত কেজিতে ৫৫ থেকে ৬০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন।

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের আদেশ

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের আদেশ

বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির দায় কার?

বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর আসার প্রায় সাথে সাথে দামও প্রায় দ্বিগুন হয়ে যায়, এজন্য আড়তদারদের দুষছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

বাড্ডার মুরাদ ট্রেডার্সের মালিক মি. মুরাদ বিবিসিকে বলেন, “বাজারে পেঁয়াজ নাই, কারণ তারা (আড়তদাররা) দেবে না। দোকানের সামনে স্যাম্পল রাখছে দুয়েক বস্তা, বাকি সব সরায়া রাখছে। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। কাস্টমারের থেকে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ২১০ বা ২২০ টাকা চাইতে তো আমারই বিবেকে লাগে।”

তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে দেশী পেঁয়াজ ১৬০ টাকা ছিল, বিকেলে সেটা হয় ১৮০ টাকা এবং সন্ধ্যার পর ১৯৫ টাকা।

শনিবার আড়ত থেকে পেঁয়াজ দিচ্ছে না, বলে অভিযোগ করেন তিনি। “দুই দিন আটকায় রেখে তারপর ছাড়বে,” বলেন মি. মুরাদ।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখন দেশী পেঁয়াজের কলি ও পাতা পাওয়া যাচ্ছে। অল্প কিছু দেশী পেঁয়াজ ঢুকেছে, তবে মূল মৌসুম শুরু হতে হতে আরও প্রায় একমাস লেগে যেতে পারে।

তবে এই বিক্রেতারা বলেন, আড়তদাররা যদি পেঁয়াজ গুদামজাত না করে দাম কমায়, তাহলে তারাও কমদামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবে।

পেঁয়াজের আড়তেই মিলবে উত্তর?

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিকেল থেকে দাম বাড়তে থাকে।

বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ এই মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বিক্রিতে, অর্থাৎ পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে। তবে, সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি একই রকম নয়, অনেক বিক্রেতারই বিক্রি বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের ভেতরে গেলে আড়তে গিয়ে দেখতে পাই সারি সারি বস্তায় পেঁয়াজের স্তুপ। সেখানে ব্যস্ততাও অনেক বেশি।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আড়তদারদের অধিকাংশই কথা বলতে চাননি, তবে পরিচয় প্রকাশ করা হবে না – এমন শর্তে একজন আড়তদার বলছিলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেঁয়াজ নেয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

“সকাল থেকে এরকম দুইশো ফোন আসছে। সবাই পেঁয়াজ নিতে চায়। এত চাহিদা থাকলে কী করবো বলেন? তার উপর ভারত আর পেঁয়াজ দেবে না। এদিকে আমার পেঁয়াজ তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দাম বাড়াতে হয়েছে,” বিবিসিকে বলেন তিনি।

এই আড়তদার বলেছেন, ভারত যে আর পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না এই খবর তারা প্রায় ঘোষণার প্রায় সাথে সাথেই জেনে যান।

তবে তিনি বলছিলেন, কেবল ভারতের রপ্তানি বন্ধের কারণে নয় দাম বাড়ার আরো একটা বড় কারণ আছে।

তিনি বলেন, “দেখেন এমন সময় এটা হল যখন বাজারে কোন পেঁয়াজ নেই। বাংলাদেশে দুইটা পেঁয়াজ আমরা বিক্রি করি, পাবনার আর ফরিদপুরের। ফরিদপুরের পেঁয়াজ আগেই শেষ, পাবনার পেঁয়াজ শেষ হবার পথে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরো প্রায় এক মাস লাগবে। ফলে এই সময়টায় দাম কমার আসলে সম্ভাবনা নাই।”

তবে তারা পেঁয়াজ মজুদ করে রাখছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেন তিনি।

“দেখেন কালকে আমি প্রায় আড়াইশো বস্তা পেঁয়াজ বেঁচছি। আজকেও প্রায় দেড়শো বস্তা বিক্রি হল। যতক্ষণ আছে বেচবো, না থাকলে তখন বিকল্প চিন্তা করবো।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের ‘সিন্ডিকেট’

বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রির পুরো সিস্টেমটাও ব্যাখ্যা করছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাওরান বাজারের ওই আড়তদার।

তিনি বলছিলেন, “আমরা পার্টির কাছ থেকে মাল নেই। আমরা হলাম দ্বিতীয় পর্যায়। পার্টি এলসি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে, তাদের কাছ থেকে আমরা কিনে নেই। এবার আমাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে চতুর্থ ধাপে ক্রেতাদের কাছে পৌছাঁয়।”

তিনি বলেন, এই প্রতিটি ধাপেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

নাসির হোসেন নামে কারওয়ান বাজারের আরেকজন আড়তদার বিবিসিকে বলেছেন, আর মাত্র ১৫ দিন পর ভারত এই ঘোষণাটা দিলে বাজারে এভাবে চাপ পড়তো না।

“নতুন পেঁয়াজ আসার পরে যদি এটা হত, ১৫-২০ দিন পর, তাহলে এই অবস্থা হত না। বৃষ্টির জন্য একটু পিছিয়ে গেল নতুন পেঁয়াজ আসা। আর আসা শুরু হলেও সেটা ভোক্তার চাহিদা কুলাতে পারবে না।”

সমাধান সরকারের কাছেই

আড়তদার মি. হোসেন মনে করেন, সরকারের কাছেই সমাধান আছে।

“তারা এখন কত দ্রুত ভোক্তার চাহিদা পূরণে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে পারে, তার উপর নির্ভর করবে,” বলেন তিনি।

তবে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-ক্যাব মনে করে সরকারের এখানে যথেষ্ট গাফিলতি আছে।

ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, “ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে, সঙ্গে সঙ্গে এটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যেখানে পেঁয়াজ আগে থেকেই আছে, আমরা মনে করি এটা সুশাসনের ঘাটতি।”

তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম নির্ধারণ করছে, সরকারের কোন বিধি বিধানের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। “আর সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যারা যুক্ত তাদের নিরবতাও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটা বার্ষিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। কখন আমদানি করবে আর কখন দেশীয় উৎপাদন দিয়ে চাহিদা পূরণ হবে, এরকম কোন উদ্যোগ দেখিনি। কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকা সংযুক্ত অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিচ্ছে।”

ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশ্য মনে করেন, ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের হয়তো শর্টেজ হয়েছে এজন্য রপ্তানি বন্ধ করেছে।”

ভারতে যে প্রভাব পড়লো

অনেকেই মনে করছেন ভারত সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। নিজের দেশের স্বার্থ যে কেউই দেখতে চাইবে। তবে ভারতের বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

মহারাষ্ট্রের নাসিকে যেখানে পেঁয়াজের সব থেকে বড় পাইকারি বাজার, সেখানকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হীরামন পরদেশী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন দুদিন আগেও কৃষকরা এক কুইন্টাল (১০০ কেজি) পেঁয়াজের দাম পেয়েছেন চার হাজার রুপি করে। অথচ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পরেই খরিদ মূল্য অর্ধেক কমে গেছে। শুক্রবার কৃষকরা এক কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম পেয়েছেন দেড় থেকে দুই হাজার রুপি।

কৃষকরা ওই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছেন। শনিবার মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ পেঁয়াজ বাজারে প্রতিবাদ হয়েছে বাজার বন্ধ রেখে।

কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। তারা বলছেন আগাম কোনো খবর ছাড়াই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে কৃষক আর ব্যবসায়ী উভয়েরই বড় ক্ষতি হয়ে গেলো।

মি. হীরামন পরদেশী বলছিলেন, কৃষি পণ্যের বাজারগুলোতে নয় থেকে ১০ হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ আসে প্রতিদিন। খরিদ মরশুমের পেঁয়াজ কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে।

এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ জমে থাকবে, অথচ হঠাৎ করে রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় অসন্তুষ্ট সেদেশের ব্যবসায়ীরা।-বিবিসি

এবিসিবি/এমআই

Translate »