Type to search

আন্তর্জাতিক

শিখ নেতা হত্যায় অগ্নিপরীক্ষায় আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক

চলতি বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সফরকালে জো বাইডেন নানা আয়োজনে তাঁকে সম্মানিত করেছিলেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দুই নেতা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন, তাদের সম্পর্ক ইতিহাসের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। তাদের এ সম্পর্ককে এখন অগ্নিপরীক্ষার মুখে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাচেষ্টার অভিযোগ। ভারতীয় এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, অবশ্যই সম্পর্কের অবনতি হবে।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, নিউইয়র্কে বসবাসকারী পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনায় ভারতীয় এক কর্মকর্তা জড়িত– মার্কিন কৌঁসুলিদের এমন দাবি ভারত-মার্কিন সম্পর্কে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় ফেলেছে। এরই মধ্যে পান্নুন হত্যার পরিকল্পনা ও ভাড়াটে খুনি ঠিক করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নিখিল দত্তের বিচার শুরু হয়েছে। মার্কিন কৌঁসুলিরা বলছেন, শিখ নেতা হত্যায় নিখিলকে নিয়োগ দেওয়ার পেছনে রয়েছেন এক ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে, তিনি ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বে থাকা একজন জ্যেষ্ঠ ‘ফিল্ড অফিসার’।

নিখিল দত্তের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, তিনি ২৯ জুনের মধ্যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত চার শিখ চিচ্ছিন্নতাবাদীতে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন চলাকালে বিষয়টি বাইডেন ও ট্রুডো উভয়েই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক কূটনীতিক জি পার্থসারথি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘অভিযোগ আদালতে গাড়িয়েছে। এটা নিশ্চিতভাবে সমস্যা সৃষ্টি করবে।’
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একই ধরনের অভিযোগ করেন। গত জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে হত্যার শিকার হন শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। এ হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে কানাডা। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগে এখনও তাদের কোনো কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। তবে ভারত জানিয়েছে, হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয় তারাও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »