উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা: বহু বাংলাদেশি বিপাকে

ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরুতে বিপাকে পড়েছেন বহু বাংলাদেশি। ওই দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ ভারতগামী ১২৩টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। ৫৬টি ট্রেন ঘুরপথে এবং ১০টির যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এতে দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরু ও চেন্নাইতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ও ফেরার পথে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। এর একটি বড় অংশই বাংলাদেশের।
একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ অন্যদিকে ট্রেন বাতিল- এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই আটকে রয়েছেন স্টেশনে। হোটেলগুলোতে দেখা দিয়েছে সিট সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়া বাংলাদেশিরা।
যাত্রীরা বলছেন, তাদের অনেকের ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া আছে, নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পারলে জটিল অপারেশন হবে না। তাই স্টেশনেই রাত পার করছেন তারা। তবে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো রয়েছে, তারা প্লেনে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কথা শতাধিক বাংলাদেশির। তারা সকাল থেকে হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করছেন। ট্রেন চলাচল সম্পর্কে কোন খবর না জানায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ব্যাঙ্গালুরু যাওয়ার টিকিট হাতে থাকলেও ট্রেন চলবে কিনা বলতে পারছেন না কেউ। কোথায় যাবেন, কি করবেন, কোথায় থাকবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখার চিপ পাবলিক রিলেশন অফিসার কৌশিক মিত্র জানান, রোববার বিকেলের পর দুর্ঘটনাস্থলের একটি লাইন চালু করতে সক্ষম হয়েছে রেলওয়ে বিভাগ। সেই লাইন ব্যবহার করে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা হাওড়ামুখী আপ ট্রেন ধীর গতিতে চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনও সবকিছু স্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশি যাত্রীদের আরও অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে দ্বিতীয় রেল লাইন চালু করতে পারবে বলে আশাবাদী রেল কর্তৃপক্ষ। সেই লাইন চালু হলে ডাউন ট্রেন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
এবিসিবি/এমআই