বিবৃতিতে সরকারের পতন হয় না, হয় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বক্তব্য-বিবৃতিতে কোনো সরকারের পতন ঘটে না। পতন ঘটাতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে আশান্বিত। এবার মনে হচ্ছে একটা কিছু হবে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুবদলের ঢাকা বিভাগের সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন কিন্তু ভাষণে হয়নি; স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধের মাধ্যমে। সেই যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের আহ্বানে। আপামর জনগণ তখন তাকে চিনতেন না। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাও ছিলেন না। দেশবাসীসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলন জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, যুব শক্তি বড় শক্তি। ছাত্ররা যেহেতু ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না, তাই যুব শক্তিকে সেই অভাব পূরণ করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় যে যুব শক্তি রয়েছে তাদের সংগঠনের আওতায় আনতে হবে। দায়িত্ব দিতে দেন। এক সময় হেঁটে হেঁটে সংগঠন করতে হয়েছে। কখনো কখনো বাস, ট্রাকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া লেগেছে। নিজের গাড়িতে চড়ার কোনো সুযোগও হয়নি। অথচ আজ এখানে এতো গাড়ি।
তিনি আরও বলেন, যত হাঁটবেন, তত কর্মী বাড়বে। নেতারা হাঁটলে কর্মীরা পালিয়ে যায় না। এতে নেতার ওপর আস্থাও বাড়ে। কর্মীদের সঙ্গে আদর্শের সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক নয়। রক্ত লাগলে সবার আগে আদর্শিক কর্মীরাই এগিয়ে আসবে। তাই বলব, সরকারের পতন ঘটাতে হলে রাজপথের কর্মীদের সংগঠনের দায়িত্ব দিতে হবে।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই