পার্বত্য অঞ্চলে ভারী অস্ত্র হাতে জঙ্গিদের
জেলা প্রতিনিধিঃ জঙ্গিদের নতুন প্ল্যাটফর্ম জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকস্ফীয়ার ২ শীর্ষ নেতাকে আটকের পর পার্বত্য অঞ্চলের সামরিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিডিও জব্দ করা হয়েছে। দুটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা গহিন বনে ঘোরাঘুরি করছেন। কারও হাতে অস্ত্র, কারও মাথায় কাফনের কাপড়। সব তরুণের চোখ-মুখ হাস্যোজ্জ্বল। নিজেরা রান্না করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন ও খাওয়া-দাওয়া করছেন। পাহাড়ে তৈরি বাঙ্কারে কেউ কেউ পাহারা বসান। বিশাল কড়াইয়ে বনের ভেতরে কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে ঘরছাড়া তরুণরা গরুর মাংস রান্না করছেন। কোনো তরুণের কাঁধে ভারী অস্ত্র। তাঁরা কাঠের তৈরি ক্যাম্প পাহারা দিচ্ছেন। কারও গায়ে কমব্যাট ড্রেস। এ সময় রাতের আঁধারে একজনকে গাইতে শোনা যায়, ‘মাথায় কাফন বেঁধে জঙ্গি মিশন দুনিয়াতে ছড়িয়ে দাও।’
গত সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাবের অভিযানে আটক হন নতুন জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার মৃধা। এর পর তাঁদের মোবাইল থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিডিও জব্দ করা হয়। নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটি নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। পুলিশ সদরদপ্তর থেকে নথি যাওয়ার পরে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ছোট ছোট এই ভিডিওগুলো তিন-চার মাস আগের তৈরি। বড় ধরনের হামলা করে অস্ত্রসহ এসব ভিডিও প্রকাশ করে ‘দায় স্বীকারের’ পরিকল্পনা ছিল তাদের। বিশেষ করে কাশিমপুর কারাগারে একযোগে জঙ্গি হামলা চালিয়ে উগ্রপন্থিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার ছক কষেছিলেন তাঁরা। অস্ত্র প্রশিক্ষণের অধিকাংশ ভিডিও নতুন জঙ্গি সংগঠনের সামরিক প্রশিক্ষক রনবীরের ডিভাইস থেকে পাওয়া গেছে।
ভিডিওতে ৩০-৩৫ জন তরুণকে দেখা গেছে। ঘরছাড়া তরুণদের যে নিখোঁজ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদেরও ছবি সামরিক প্রশিক্ষণের ভিডিওতে রয়েছে। ভিডিওতে যাঁদের দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করা গেছে। তাঁরা হলেন- সালেহ আহমেদ, নিজাম উদ্দিন ও আবুল বাশার মৃধা।
এবিসিবি/এমআই