হাইপারসনিক মিসাইলে সজ্জিত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত একটি ফ্রিগেট মোতায়েন করেছেন। ‘অ্যাডমিরাল গোর্শকভ’ নামের এই যুদ্ধ জাহাজটি আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে কাজ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন উপলক্ষে বুধবার (৪ জানুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও ফ্রিগেট কমান্ডার ইগর ক্রোখমাল একটি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন।
যুদ্ধজাহাজটিকে ‘কমব্যাট সার্ভিস’ শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার আগে পুতিন বলেন, ‘জাহাজটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম ‘জিরকন’ দিয়ে সজ্জিত। মাতৃভূমির কল্যাণে নাবিকরা সফল হোক, প্রার্থনা করি।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু জানান, ফ্রিগেট আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরে কাজ করবে। এই জাহাজে বহন করা হাইপারসনিক মিসাইল যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম এবং এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে পারে।
তিনি আরও জানান, এর মাধ্যমে জল ও স্থলে শত্রুর উপর নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে শক্তিশালী আক্রমণ করা যায়। হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের পাঁচগুণ গতিতে যেতে পারে। এর গতি ঘণ্টায় ৬ হাজার ১৭৪ কিলোমিটার বা ৩ হাজার ৮৩৬ মাইল। সংক্ষেপে, এর গতি চরম। এর গতিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়।
কারণ, এটি এত দ্রুত চলে যে প্রতিপক্ষের সাবধান হওয়ার বা ব্লক করার সময় নেই। রাশিয়া গত বছর যুদ্ধ জাহাজ ও সাবমেরিন থেকে ‘জিরকন’ নামের এই হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করে। হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির অগ্রগতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে দেশটি এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছিল।
হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের পাঁচগুণ গতিতে যেতে পারে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হবে রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলা করা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সহযোগিতায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করা। সামরিক মহড়ায় নাবিকদের হাইপারসনিক অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এবিসিবি/এমআই