নড়াইলে নৌকাডুবিতে মা-ছেলের মৃত্যু, নিখোঁজ ৪

জেলা প্রতিনিধিঃ মৃত দাদিকে শেষবারের মতো দেখতে শিশু সন্তানকে নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বাবার বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছিলেন নাজমা বেগম (২৬)। কিন্তু দাদির মুখ আর দেখা হয়নি। পথেই নবগঙ্গা নদীতে খেয়া নৌকা ডুবে নাজমা বেগম ও তার ২ বছরের শিশু সন্তান নাসিম হেসেনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন।
গত শুক্রবার রাতে নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা-চরবাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাটে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
নাজমা উপজেলার চরবাহিরডাঙ্গা গ্রামের ইমামুল মন্ডলের মেয়ে এবং বাবুপুর এলাকার মো. জলিল শেখের স্ত্রী। নিখোঁজরা হলেন-নাজমার ছোটভাই রয়েল শেখ, ভগ্নিপতি ছোটকালিয়া এলাকার মাহামুদ হোসেন, বাবুপুর গ্রামের চৌকিদার লাবু শেখ ও জোকারচর গ্রামের খানজু শেখ। নিখোঁজদের উদ্ধারে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি দল শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নাজমা বেগমের দাদি আবেজান নেছা (৯০) বাহিরডাঙ্গা এলাকার বাড়িতে মারা যান। দাদির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্বামী ও সন্তানসহ ১৪ জন আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে শুক্রবার রাত ৮ টারদিকে নাজমা বাবুপুর গ্রাম থেকে খেয়া নৌকায় চড়ে বাবার বাড়ি চরবাহিরডাঙ্গা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীরে চাপে মাঝ নদীতে ডুবে যায় এবং ঘটনাস্থলেই নাজমা ও তার শিশু সন্তান নাসিম হোসেনের মৃত্যু হয়। নৌকাডুবিতে আহত বাহিরডাঙ্গা গ্রামের মো. হেমায়েত মন্ডল ওরফে মনিরকে (৪২) কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ৯ জন নদী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নদীতে ডুবুরিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে খেয়া নৌকাটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হবে।