বাংলাদেশকে কেউ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না বললেন মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশ একটি সংকটের মধ্য দিয়ে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। গত ১৪ বছর ধরে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, তারা নিজেরাই নিজেদের স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী হিসেবে তাদের পরিচিত করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে এখন বাংলাদেশকে কেউ আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। এই বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে হাইব্রিড সরকার দিয়ে। এই সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।
’সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ড. মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, ওবায়দুর রহমান চন্দন, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গত ১৪ বছর ধরে আমরা বলে আসছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই। মানুষের ভোটে যদি সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়, সেই সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকে না। আজ দেশে যে অরাজকতা, যে অশান্তি, ব্যর্থতা, সর্বগ্রাসী ধ্বংস-এই কারণ দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা আজ সরকারে, তারা ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি করে লুটপাট করে দুর্র্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।’
ড. মোশাররফ আরও বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ রক্ষীবাহিনী সৃষ্টি করে বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু করে। জাসদের ২০ হাজারের মতো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আবারও গত ১৪ বছর ধরে দেশে অলিখিত বাকশাল চলছে।’-সমকাল
এবিসিবি/এমআই