Type to search

সারাদেশ

দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা

জেলা প্রতিনিধিঃ দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আজ শনিবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। মৌলভীবাজারের ৯২টিসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকেরা অংশ নিচ্ছেন এ ধর্মঘটে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও, ফিনলে টি কোম্পানি, নাহার, ইস্পাহানি, এম আর খান, মির্জাপুর, জঙ্গল বাড়ি, মাজদিহি চা বাগান। সদর উপজেলার হামিদিয়া, প্রেম নগর, মৌলভী চা বাগান। কমলগঞ্জের কুরমা, চাম্পারায়, ফুলবাড়ি ও নুরজাহান, ভাড়াউড়া চা বাগানসহ রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার বিভিন্ন চা বাগানে ৪র্থ দিনের মতো চা শ্রমিকরা সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

চা শ্রমিকরা বলেন, তাদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে প্রতি বছর চা শিল্পে রেকর্ড চা উৎপাদন হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশের ইতিহাসে চায়ের রেকর্ড পরিমান উৎপাদন ৯৬ মিলিয়ন কেজি চা হয়েছে। কিন্তু আজও হয়নি তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন। চা শ্র্রমকদের মজুরী বৃদ্ধির ২টি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হলেও বারবার মার খাচ্ছেন চা শ্রমিকরা।

দেশের অন্যতম বৃহৎ চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় দেড় লক্ষাধিক চা শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগষ্ট মঙ্গলবার থেকে মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত ৯২টি চা বাগানসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানে চা শ্রমিকরা কর্ম বিরতি পালন করে। তাদের ন্যায্য দাবি না মানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চা শ্রমিকরা।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন আমাদের চা-শ্রমিকরা। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। আমরা একাধিক সময়ে বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক করছি। চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও চুক্তি ভঙ্গ করছেন মালিকেরা। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির এ দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত তিন বছর ধরে নানা টালবাহানা করে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। এতে করে চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছি আমরা।

এবিসিবি/এমআই

Translate »