খুলনায় জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে সংঘর্ষে ৫ জন আহত
জেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে চেয়ারে বসা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এসময় দুবৃর্ত্তদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনিসহ পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনা ক্লাবে জেলা বিএনপি ইফতারি মাহফিলের আয়োজন করে। এসময় মূল অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ইফতারির জন্য চেয়ারে বসা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র নগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা কিমিয়া শাহাদাতের সঙ্গে জেলা যুবদলের জনির বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তির নেতৃত্বে জনির ওপর হামলা করা হলে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এসময় জনিসহ তেরখাদা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান রাজু, সোহাগ, অলিদ এবং দ্বারা গুরুতর আহত হয়। এর আগে অবশ্যই ইস্তিকে মূল অনুষ্ঠানের স্থলে দেখা যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা আহতের দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি জানান, আমি খুলনা ক্লাবের ইফতারিতেই ছিলাম না। নতুন রাস্তার মোড়ের আলফালা জামে মসজিদে ছাত্রদলের একটি ইফতারির আয়োজনে ছিলাম। আমার কোন অনুসারীও এই হামলার সাথে জড়িত নয়। রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে আমার নামে করা হচ্ছে অপপ্রচার।
জেলা যুবদলের সভাপতি এস এম শামীম কবির বলেন, যুবদলের পাঁচ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এই হামলা কারা চালিয়েছে সেটা চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুনেছি শাহাদাতের সঙ্গে জনির বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। তবে বিস্তারিত এখনও জানতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ইফতারির অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, নগরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এবিসিবি/এমআই