ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন ঘটাতে হবে: মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুচনা করেছিলেন। এই চট্টগ্রাম থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নতুন মুক্তিযুদ্ধের শুরু হলো। ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে ‘মুক্তিযুদ্ধের সূচনা সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই ইতিহাস বিকৃতি করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা। বারবার তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয়, এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অন্য কেউ নয়। অবদান অনেকের আছে। আমরা কারও অবদান অস্বীকার করি না। প্রত্যেকের অবদান আমরা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বীকার করি।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা বললে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা স্বীকার করতে হবে। দুটো ছোট বাচ্চা নিয়ে এই চট্টগ্রামে ছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে যখন জিয়াউর রহমানের ক্যান্টমেন্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন, তার ব্যাটালিয়নের লোকজনকে নিরস্ত্র করার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এসেছিল। সে সময় বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান না ফেরা পর্যন্ত তোমরা অস্ত্র জমা দেবে না। এরপর তিনি ঢাকায় গিয়ে দুই শিশুসন্তানসহ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন। এ কথা যখন বলি তাদের গায়ে জ্বালা ধরে।’
আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যতই ঘুরপাক খান, ডিগবাজি খান, লাভ নেই। সময় শেষ হয়ে এসেছে। শুরুতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। পরে আমেরিকার এক মন্ত্রীর ধমকে জাতিসংঘে ডিগবাজি খেয়ে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।’
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংবিধান কাটাছেঁড়া করে নিজেদের ইচ্ছেমতো করে সাজিয়েছে। জনগণ আবার নতুন করে সংবিধান রচনা করবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূূঁইয়া ও গোলাম আকবর খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই