শর্ত জুড়ে ৮১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে জার্মানি
ইউরোপে অবস্থানকারী বিহারী ও রোহিঙ্গাসহ ভিনদেশি অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করায় এ বিশেষ উদ্যোগ নিতে হয়েছে ঢাকাকে। এছাড়া ইইউ নানা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। জানা গেছে, যদি অবৈধদের বাংলাদেশ ফিরিয়ে না নেয় তাহলে শেনজেন ভিসা সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের যে ১ বছরের ভিসা দেওয়া হয়, তার সময়কালও কমিয়ে দেবে তারা। এর বাইরে আরও কিছু জটিল শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে কূটনীতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী ৮১৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্লিনস্ত বাংলাদেশ দূতাবাস। ২৬ তারিখে অভিবাসনে ব্যর্থ প্রায় ৫৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে ডুসেলড্রপ এয়ারপোর্ট থেকে জানা গেছে। তবে এ ধরনের চার্টার্ড বিমানে ৫০ জনের ধারণক্ষমতা থাকে এবং বিগত দিনে একবারে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬ জনকে।
জার্মানিতে বাংলাদেশের দূতাবাস সূত্রমতে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চুক্তি ও তদন্তসাপেক্ষে এসব বাংলাদেশি অভিবাসন আইনে পড়ে না বিধায় ফেরত পাঠানো হবে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশটির ১৬টি প্রদেশে গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব বাংলাদেশিদের কারণে ২ দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে রাজনৈতিক-সামাজিক ও পারিবারিক নানা বিষয় ভেবে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের বিষয়ে সব তথ্য-উপাত্ত হাতে আসার পর দূতাবাস ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে। সত্যিকার অর্থে এখানে ২য় কোনো পথ নেই বা দূতাবাসের কিছু করার নেই।
ইউরোপে অবস্থানকারী বিহারী ও রোহিঙ্গাসহ ভিনদেশি অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করায় ঢাকাকে এ বিশেষ উদ্যোগ নিতে হয়েছে। এছাড়া ইইউ নানা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। জানা যায়, যদি অবৈধদের বাংলাদেশ ফিরিয়ে না নেয় তাহলে শেনজেন ভিসা সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ।পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের যে এক বছরের ভিসা দেওয়া হয়, তার সময়কালও কমিয়ে দেবে তারা। এর বাইরে আরও কিছু জটিল শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে কূটনীতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ইইউ বলছে, ইউরোপের শেনজেনভুক্ত ২৬টি দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশি রয়েছে। এসওপি চুক্তি অনুসারে এ অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশকে ফেরত নিতে হবে। এ ব্যাপারে বারবার ঢাকাকে তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। ইইউর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সরকার এ প্রত্যাবাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে একাধিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যার বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও আফগানিস্তান। বিশেষ করে গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়ার মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে ইতালি ও গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করছে। ইইউর হিসাব মতে, অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩০টি দেশের মধ্যে ১৬তম স্থানে।
এবিসিবি/এমআই