দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন শনাক্ত, ঝরলো আরও ১১৭ প্রাণ

ঢাকা : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ৩ হাজার ৫২৫ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যা গত ৬৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন শনাক্ত।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু বাড়লেও, নতুন রোগী ও শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ১০২ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে ৪ হাজার ৬৯৮ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৫৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত ৬৯ দিনের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন শনাক্তের হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮৫ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।
এর মধ্যে গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয় ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এ মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে দেশে এত মৃত্যু হয়নি। তার আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে, ২ হাজার ৪০৪ জনের।
বর্তমানে সারা বিশ্বেই করোনার ডেলটা ধরনের দাপট চলছে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৪২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অতি সংক্রামক এ ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্বজুড়েই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে। সূত্র : প্রথম আলো
টিএস