উচ্চাভিলাসী জীবন-যাপনের জন্যই অবৈধ পথে চলতেন আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীর

আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন আইনে ৫টি মামলা হচ্ছে। হেলেনার অপকৌশলের মাধ্যমে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লী মাতা’ ও ‘প্রবাসী মাতা’ হিসেবেও হেলেনা জাহাঙ্গীর পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যা বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, মাদক আইনে ছাড়াও বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণে আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে হেলেনার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তার বাসা থেকে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, একটি হরিণের চামড়া, বিপুল পরিমাণ মাদক, একটি বন্য পশুর চামড়া, ১০ ধরনের বিদেশি চাকু, বিপুল সংখ্যক বিদেশি মুদ্রা, ২টি ওয়াকিটকি ও একটি লাল রঙের লাগেজ ভর্তি অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাকে আটক দেখানো হয়। পরে গভীর রাতে তার জয়যাত্রা আইপি টিভি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ভবনেও অভিযান চালানো হয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে হেলেনার অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২৫ জুলাই দলটির মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব মেহের আফরোজ চুমকি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।