করোনাভাইরাসের ‘ট্রিপল মিউটেন্ট’, পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত বন্ধ ওডিশার

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পশ্চিমবঙ্গের সাথে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ওডিশা। শুক্রবার রাজ্যটির সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। পশ্চিমবঙ্গে করোনার ‘ট্রিপল মিউটেন্ট’ পাওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত।
একইসঙ্গে বালাসোর ও ময়ূরভঞ্জ জেলা দিয়ে আন্তঃরাজ্য সীমান্তের তিনটি প্রধান চেকপোস্টেও কঠোর পুলিশি নজরদারি শুরু করা হয়েছে। তবে দুই রাজ্যের মধ্যে অনেকগুলো ‘একত্র’ গ্রাম রয়েছে, যেগুলো দিয়ে কোনো ধরনের চেক ছাড়াই উপকূলীয় রাজ্যে যাওয়া আসা করা যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের
চেকপয়েন্ট দিয়ে যারা ওডিশায় প্রবেশ করছেন, তাদের সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাতে নেগেটিভ এসেছে, এমন রিপোর্ট দেখাতে বলা হচ্ছে। এছাড়া করোনা টিকাগ্রহণের সনদ দিতে পারলেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এমনকি রাজ্যে প্রবেশের পরে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতেও বলা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ মোকাবিলায় ওডিশা আন্তঃসীমান্ত চলাচলে বেশ তৎপর রয়েছে। তারা এ সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যের বাইরে চলাচলে কোয়ারেন্টাইন বিধিমালা ঘোষণা করেছিল। একটি আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ভ্রমণকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে।
বালাসোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাম কালেক্টর কে সুদর্শন চক্রবর্তী বলেছেন, রাজ্যের বাইরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বহনকারীদেরও ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টান্টাইনে থাকতে হবে।
হঠাৎ করে দুই রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পার্শ্ববর্তী রাজ্যের সীমান্ত বাজারগুলোতে যাওয়া আসার কোনো সুযোগ মিলছে না তাদের। কিছু অঞ্চলে এ নিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ভুবনেশ্বর রেলস্টেশন পরিচালক চিত্তরঞ্জন নায়ক জানিয়েছেন, মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বাসস্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনগুলোতেও পুলিশি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, কৌশলগতভাবে ভুবনেশ্বর রেলস্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রস্থান বন্ধ করা হয়েছে এবং এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ ও প্রস্থান উভয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উডিশা রাজ্য সরকার এর আগে ছত্তিশগড় আন্তঃসীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে। এদিকে উডিশা প্রশাসনও লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্যে।